মাদ্রাসার আঙ্গিনায় বসে আছি,সকাল সকাল বৃষ্টির ছোঁয়া উপভোগ করছি, বৃষ্টির স্পর্শে শিহরিত হচ্ছি, বৃষ্টির ন্যায় শীতল হয়ে আসছে সারা গা, বাগানের ফুল-ফলগুলো ধুয়ে-মুছে আপন রুপে ফিরছে, মাদ্রাসার পরিবেশটা নিজ সাজে সাজছে, সবকিছুতে নতুনত্য ও মুগ্ধতা ছেঁয়ে যাচ্ছে, অপর দিকে ছাত্র্রদের ঘুম থেকে উঠার সময় হয়েছে, দায়িত্বশীল ছাত্ররা খানা উঠাতে যাচ্ছে,বাকিরা ঘুমের সীট থেকে বাহিরে আচমকা হয়ে তাকিয়ে আছে,কারণ বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে,তাদের ঘুমের তীব্রতা আরো দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই কেহ কেহ কপালকে বালিশে আটকিয়ে সেজদার ন্যায় কুঁকড়ে জমে গিয়ে আক্ষেপ করছে, কেহ কেহ পাতলা কাঁথাটা টেনে শরীরে ফে’র দিতে চাচ্ছে,
কেহ বসে বসে ঝিমুচ্ছে, কেহ থুতনির নিচে হাত আটকিয়ে ঢলে পড়ছে, কেওবা দেয়ালে টেক লাগিয়ে একবার কোন উস্তাদ আসছে কি না খিয়াল করছে, আবার ঝিমাচ্ছে, কিন্তু পরিক্ষার পেরা ও উস্তাদের বকবকানিতে উঠতে হচ্ছে, কিন্তু প্রত্যেকর চোখেমুখে একটা আক্ষেপ হাতছানি দিয়ে যাচ্ছে, হায়! হুজুররা যদি ঘুমের আরেকটু ছুটি দিতো,কেহ কেহ বৃষ্টির দিকে আঁড়চোখে তাকিয়ে বলছে আরেকটু আগে আসতে পারলি না, এতো দেরি করলি কেন?
পরিশেষে সকলেই নাস্তা করে,পড়তে বসেছে,খিয়ারকে কাজে লাগাচ্ছে, গুনগুন শব্দ আসছে, আমি বারান্দায় চিয়ারে বসে ভাঙ্গা কলমে লিখছি।